নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ: ইচ্ছামত বেতন-ফি আদায়সহ নানা অভিযোগ থাকলেও নির্বিঘেœ চলছে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো। পাঁচ বছর আগে একটি নীতিমালা করা হলেও সরকারের উদাসীনতায় হয়নি বাস্তবায়ন। এ অবস্থায় জেলার আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতার কাছে এখন জিম্মি অভিভাবকরা। শহরের চাষাড়া এলাকার একটি আবাসিক ভবনের ৫ তলা ভবনের ২তলায় অফিস। আর তৃতীয় থেকে বাকি ৩ তলায় বসতঘর। এরই মধ্যে নিচতলার ছোট ছোট কয়েকটি কক্ষকে শ্রেণীকক্ষ বানিয়ে চলছে কিন্ডারগার্টেন স্কুল।
জেলার বেশিরভাগ কিন্ডারগার্টেনের চিত্র এ রকমই। ভাড়া বাড়িতে কোনোমতে গড়ে তোলা স্কুলে খেলার মাঠ তো দূরে থাক, নেই চলাফেরার মত এতোটুকু খালি জায়গা। অথচ মাস শেষে ঠিকই মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। সরকারি হিসেবে জেলায় প্রায় ৯’শ টি কিন্ডারগার্টেনের কথা বলা হলেও বাস্তবে এ সংখ্যা আরো বেশি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা এনে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে ২০১১ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘বিশেষ বিধিমালা’। এরপর ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও দেখা যায়নি তার কোনো বাস্তবায়ন। এ অবস্থার জন্য মন্ত্রণালয়কেই দুষছেন কিন্ডারগার্টেন অনেক মালিকরা।
জালকুড়ি এলাকার এক কিন্ডারগার্টেন মালিক বলেন, ‘স্কুল পরিদর্শন করে সরকার একটি সুপারিশ দিবে যে কোন কোন স্কুল নিবন্ধন হতে পারে আর কোনটি হবে না। কিন্তু সরকার সেই কাজটি করতে পারেনি। আর করতে না পারার কারণে আমরাও নিবন্ধন করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছি।’
সরকারের উদাসীনতায় গত কয়েক দশকে জেলার আনাচে-কানাচে ব্যাঙের ছাতার মতো গজানো কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর শিক্ষার ব্যবস্থা এখন যেন গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর শিক্ষাবিদরা বলছেন, এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কেবল কিন্ডারগার্টেন স্কুলের আইন করলেই চলবে না। আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার মান উন্নয়নের দিকে।